Auto Ads 1

ফুল কপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুন এবং ফুলকপি চাষ পদ্ধতি

ফুল কপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুন এবং ফুলকপি চাষ পদ্ধতি

উইকিপিডিয়ার তথ্যসুত্র মতে

ফুলকপি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া (Brassica oleracea) প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণতঃ ফুলকপির পুষ্পাক্ষ অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁটা এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করে খাওয়া হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এই ফুলকপি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।

পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া (Brassica oleracea), যার মধ্যে বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিও পড়ে, অবশ্য এরা ভিন্ন চাষ গোত্রভুক্ত। ১৮২২ সালে ব্রিটিশরা ভারতে ফুলকপি প্রবর্তন করেছিল।

আরও পড়ুন- পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা


ফুল কপির পুষ্টিমানের তথ্য


পুষ্টিমান : ফুলকপির পুষ্টিগুন নানাবিধ, যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে ০.৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.২% আঁশ, ৪১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২.৬% আমিষ, ৪১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ৭.৫% শর্করা ইত্যাদি পাওয়া যায়।

ফুলকপিতে যথেষ্ট পরিমাণে সালফার, পটাশিয়াম ও ফসফরাস খনিজ উপাদান আছে। এ ছাড়াও প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে আছে পানি ৯০.৮ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, শ্বেতসার ৪.০ গ্রাম, খনিজ লবণ ১.৯ গ্রাম ইত্যাদি।

তথ্যের উৎস - উইকিপিডিয়া

ঠান্ডা সর্দি সারাতে জেনে নিন ঘোরোয়া উপায়

শীত কালের সবজি পুষ্টিগুনে ভরপুর ফুলকপি


ফুলকপি শীতের প্রধান জনপ্রিয় সবজি। তরকারি এবং স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে।

শীতের মৌসুমে ফুলকপি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার ? ফুলকপিতে রয়েছে অনেক গুণ! ফুলকপি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এতে থাকা সালফার সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য বেশ উপকারী। যকৃৎ থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান দূর করে এই ফুলকপি। ফুলকপির বিশেষ কিছু উপকারি গুণ রয়েছে , যা সবার জেনে রাখা ভালো:

১. কোলস্টেরল কমায়: এতে প্রচুর ফাইবার আছে, যা শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে।

২. ওজন কমাতে: গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ওজন কমায় এবং সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।

৩. হাড় ও দাঁত শক্ত করে: ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।

৪. ক্যানসার প্রতিরোধ করে: মারাত্মক ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে ফুলকপি। এতে আছে সালফোরাপেন। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতাও আছে ফুলকপির। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। অন্য এক গবেষণায় জানা যায় যে, ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৫. হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী: ফুলকপি হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য ভালো। এতে যে সালফোরাপেন আছে, তা হৃদ্‌রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

৬. রোগ প্রতিরোধ করে: ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়। ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিড সহ আরো অনেক উপাদান থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।

৭. শক্তি জোগায়: এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।

৮. চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী: কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।

৯. হজমের উন্নতি ঘটায়
যেহেতু ফুলকপি ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস সেহেতু এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ডস হেলদিয়েস্ট ফুডস এর মতে, ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।

১০. দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।

১১. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
ফুলকপিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি গ্রহণ করলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। গবেষণায় নির্দেশ করা হয়েছে যে, জ্ঞানীয় কাজের, শিক্ষার এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন।

সংগ্রহ প্রথম আলো - তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

আরও পড়ুন- পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

খেতে পারেন ফুল কপি ভর্তা যা অনেক সুস্বাদু এবং জেনে নিন ফুলকপি ভর্তার রেসিপি

ডাটা ছাড়া ফুল কপি হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।পানি সব টেনে গেলে চুলা থেকে নামাতে হবে এবং একটা কড়াইয়ে মরিচ রসুন ভেজে নিবে । এরপর পিয়াজ এবং টালা মরিচ এবং রসুন মাখাতে হবে । আপনি চাইলে ধনিয়া পাতাও দিতে পারেন । পরে সেদ্ধ করা ফুল কপি গুলো চটকিয়ে সব কিচ্ছু একসাথে মাখাতে হবে সাথে সামান্য সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে গরম ভাতে পরিবেশন করুন।

Ingredients
  • ১ টি ফুলকপি
  • ২/৩ টা শুকনা মরিচ
  • ২ টা পিয়াজ কুচি
  • ৩ কোয়া রসুন
  • সামান্য হলুদ গুঁড়া
  • পরিমান মত লবন
  • পরিমান মত সরিষার তেল

ফুল কপির চাষ এবং বীজ ও বীজতলার তথ্য


বর্ণনা : ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়। আমাদের দেশে মাঘী, অগ্রহায়ণী, পৌষালী, বারি ফুলকপি-১, ২ ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়। ফুলকপি বপনের উপযুক্ত সময় হল আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর। প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ দুই গ্রাম। বীজতলার জন্য ৩ ×১ মিটার মাপের ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করলে ভাল হয়। বীজতলার উপরের স্তরে ১:১ অনুপাতে পচা গোবর/আবর্জনা সার এবং দো-আঁশ মাটির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর তিন-চার সপ্তাহ পলিথিন দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে শোধনের পর পাঁচ সে. মি. দূরে দূরে লাইনে ছিটিয়ে ১০ গ্রাম বীজ বুনতে হবে। অতিবৃষ্টি ও রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য উপরে পলিথিন বা চাটাইয়ের আচ্ছাদন দিতে হবে। ১০ দিন পর দ্বিতীয় বীজতলায় পাঁচ সে.মি. পর পর সারি করে দুই সে.মি. দূরে দূরে শেষ বিকেলে স্থানানস্তর করতে হবে। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা স্থানানস্তরের পাঁচ দিন পর বীজতলার চারায় প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ৩০ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে স্প্রে করা অত্যাবশ্যক।

ভাল বীজ নির্বাচন : প্রতি হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন। ভালোভাবে জমি তৈরি করার পর ১০-১৫ সে.মি. উঁচু পাশাপাশি ২ টি বেডের মাঝখানে ৩০ সে.মি. চওড়া ও ২৫ সেমি গভীর নালা রাখুন।

বীজতলা প্রস্তুতকরণ : ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করুন। ১×৩ মিটার বীজতলায় সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিন। চারা ঠিকমত না বাড়লে পরে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন।

বীজতলা পরিচর্চা : ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ১২ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকুন, যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়। এতে চারার মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয় ও বাড়ন কমে। রোপণের প্রথম কয়েক দিন প্রখর রোদে যাতে চারা ঝিমিয়ে না যায় তার জন্য কাগজ বা কলার খোল দিয়ে ছায়া দিন।


ফুলকপি চাষের সকল চাষপদ্ধতির তথ্য জানতে ভিজিট করুন

তথ্যের উৎস : কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।


ফুলকপি চাষের জন্য জলবায়ু ও মাটিঃ


ফুলকপি চাষের জন্য সুনিকাশযুক্ত উর্বর দোয়াশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভালো। ফুলকপির জন্য ঠাণ্ডা ও আর্দ্র জলবায়ু ভালো। উঁচু জমি যেখানে পানি জমে না এবং সারা দিন রোদ পায় এরূপ জায়গা ফুলকপি চাষের জন্য উত্তম। ফুলকপি চাষের মাটিতে যত জৈব পদার্থ থাকবে ফলন ততই ভালো হবে। মাটির অম্লমান বা পিএইচ ৬.০-৬.৫ ফুলকপি চাষের জন্য উত্তম।

ফুল কপির জাতঃ


এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে।

ফুলকপির বিভিন্ন জাত আছে যেমন :

১. আগাম জাত– অগ্রাহনী, আর্র্লিপাটনাই, আর্লিস্নোবল, সুপার স্নোবল, ট্রপিক্যাল স্নো-৫৫, সামার ডায়মণ্ড এফ ১, স্নো কুইন এফ ১, হিট মাস্টার ও হাইব্রিড জাত। এসব জাতের বীজ শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে বুনতে হয়।

২. মধ্যম আগাম জাত– পৌষালী, রাক্ষুসী, স্নোবল এক্স, স্নোবল ওয়াই, হোয়াইট টপ, স্নো ওয়েভ, বিগটপ, বিগশট, মোনালিসা এফ ১, চন্ড্রিমা ৬০ এফ ১ ইত্যাদি। ভাদ্র ও আশ্বিন মাস হলো এসব জাতের বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

৩. নাবী জাত– মাঘী বেনারসি, ইউনিক স্নোবল, হোয়াইট মাউন্টেন, ক্রিস্টমাস, এরফার্ট ও হাইব্রিড জাত। এসব জাতের বীজ বোনার উপযুক্ত সময় হলো আশ্বিন-কার্তিক মাস।

এ জাতগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কতৃক বারি ফুলকপি-১ (রোপা)ও বারি ফুলকপি-২ (অগ্রদূত ) নামে মধ্যম আগাম জাতের ফুলকপির দুইটি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়। বারি ফুলকপি-১ জাতের প্রতিটি ফুলকপির ওজন ৮৫০ থেকে ১০০০ গ্রাম। ফুলকপি চারদিকে পাতা দিয়ে ঢাকা থাকে। এ দেশের জলবাযুতে বারি ফুলকপি-১ জাতের বীজ উৎপাদন করা যায়। প্রভাতী জাত থেকে হেক্টরপ্রতি ৪০০-৫০০ কেজি বীজ উৎপাদন করা যায়। জীবন কাল কপি উৎপাদন ১০০-১১০ দিন এবং বীজ উৎপাদন প্রায় ১৮০ দিন। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৫০-৬০ টন ফলন পাওয়া যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলে চাষ করে বীজের ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব।

বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত) আকারে গোলাকার, উপর-নিচ চেপ্টা। পাতার পৃষ্ঠদেশে পাতলা মোমের আবরণের মতো বস্তু রয়েছে। প্রতিটি বাঁধাকপির ওজন ২.০-২.৫ কেজি। জাতটি বাংলাদেশের জলবায়ুতেই বীজ উৎপাদন করে। বীজ বপন থেকে কপি উৎপাদন পর্যন্ত ১০০-১১০ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ৫৫-৫৬ টন এবং বীজের ফলন ৫৫০-৬৫০ কেজি পাওয়া যায়। এ জাত বাংলাদেশের সর্বত্র চাষাবাদের উপযোগী।

ফুলকপির চাষ পদ্ধতি ও জাতসমুহ। পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমন ব্যবস্থাপনা জানতে ক্লিক করুন

আরও জানুন -

মধু খাওয়ার নিয়ম এবং মধুর অসাধারণ গুনাগুন

তুলসী পাতার উপকারিতা ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও লেবুর পুষ্টিগুন

গরম পানি খাওয়ার নিয়ম ও গরম পানির উপকারিতা

লাল চা খাওয়ার নিয়ম ও লাল চায়ের উপকারীতা

বৃষ্টির পানির উপকার ও ব্যবহারের নিয়ম

দাতের ব্যথায় করনীয় এবং ঘরোয়া টোটকামাইগ্রেন কি কেনো হয় এবং হলে করনীয় কি

Post a Comment

0 Comments

Ads 4