বৃষ্টি আল্লাহর একটি রহমত এই বৃষ্টির পানি আল্লাহর তরফ থেকে আসে।
বৃষ্টি শুরু হলে দোয়ার নিয়মঃ benefits of rainwater
দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময়গুলোর মধ্যে বৃষ্টির সময়ও ভালো একটি সময়। বৃষ্টি শুরু হলে নিজেদের জানা দোয়াগুলো পেশ করতে আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করা জরুরি।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন - দুই সময়ের দোয়া কখনও ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এক- আজানের পরে করা দোয়া।
দুই- বৃষ্টির সময় করা দোয়া।’ (আল-হাকিম)
বৃষ্টির সময় দোয়াঃ
যখন বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টি থেকে উপকার পেতে দোয়া করা জরুরি। বৃষ্টি শুরু হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণ ও উপকার পেতে ৩ শব্দের ছোট্ট একাটি দোয়া বেশি বেশি পড়তেন।
দোয়াটিঃ
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
উচ্চারণ :‘ আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআ।' (বুখারি, নাসাঈ)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারি হয়।'
এই দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা বৃষ্টির ক্ষতিকর দিকগুলো দূর করে দেন এবং কল্যাণকর ও উপকারি বৃষ্টি দান করেন।
এই পৃথিবীর মধ্যে যত মিঠা পানি আছে সব থেকে ভালো মিঠা পানি হলো বৃষ্টির পানি। কারণ এই বৃষ্টির পানি ফিল্টারিং হয়ে জলীয় বাষ্প হয়ে আকাশে চলে যায় এবং বৃষ্টির মাধ্যমে আর পৃথিবীর আকর্ষণের কারণে বৃষ্টির পানি নিচে পতিত হয়।
বৃষ্টির পানির মধ্যে কোন খারাপ উপাদান নেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি হলো বৃষ্টির পানি।
বর্ষা মানেই হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর। এটাই প্রচলিত ধারণা আমাদের। কিন্তু, বর্ষাই হয়ে উঠতে পারে রোগমুক্তির ভালো উপায়।
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا
উচ্চারণ :‘ আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআ।' (বুখারি, নাসাঈ)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারি হয়।'
এই দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা বৃষ্টির ক্ষতিকর দিকগুলো দূর করে দেন এবং কল্যাণকর ও উপকারি বৃষ্টি দান করেন।
এই পৃথিবীর মধ্যে যত মিঠা পানি আছে সব থেকে ভালো মিঠা পানি হলো বৃষ্টির পানি। কারণ এই বৃষ্টির পানি ফিল্টারিং হয়ে জলীয় বাষ্প হয়ে আকাশে চলে যায় এবং বৃষ্টির মাধ্যমে আর পৃথিবীর আকর্ষণের কারণে বৃষ্টির পানি নিচে পতিত হয়।
বৃষ্টির পানির মধ্যে কোন খারাপ উপাদান নেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি হলো বৃষ্টির পানি।
বর্ষা মানেই হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর। এটাই প্রচলিত ধারণা আমাদের। কিন্তু, বর্ষাই হয়ে উঠতে পারে রোগমুক্তির ভালো উপায়।
কিন্তু কীভাবে ?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃষ্টির পানি পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানীয়।
অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা বলছে, বৃষ্টির পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি বা পাথরে থাকা মিনারেলস আর বর্জ্য, বৃষ্টির পানিতে থাকে না। সে কারণেই বৃষ্টির পানি পানে অগাধ উপকারিতা ।
অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা বলছে, বৃষ্টির পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি বা পাথরে থাকা মিনারেলস আর বর্জ্য, বৃষ্টির পানিতে থাকে না। সে কারণেই বৃষ্টির পানি পানে অগাধ উপকারিতা ।
বৃষ্টির পানি উপকারি দিকগুলিঃ
বৃষ্টির পানি হজম শক্তি বাড়ায়ঃ
বৃষ্টির পানিতে থাকা অ্যালকালাইন pH যা অ্যাসিডিটি কমায়, হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে বৃষ্টির পানিঃ
ভারতের কোথাও কোথাও পেটের চিকিৎসায় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ চামচ বৃষ্টির পানি খেতে বলা হয়। পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি বা আলসার থাকলে বৃষ্টির পানি ওষুধের কাজ করে।
বৃষ্টির পানি ত্বকের পক্ষে উপকারীঃ
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুন্দর সুস্থ ত্বক পেতে হলে, বৃষ্টির পানি অত্যন্ত উপযোগী। সুগন্ধি সাবানে থাকে অ্যাসিডিক pH যা ত্বককে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে দেয়। বৃষ্টির পানিতে সেসবের বালাই নেই।
বৃষ্টির পানি ক্যান্সার বিরোধীঃ
বৃষ্টির পানিতে থাকা অ্যালকালাইন pH ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। ক্যান্সার রোগীদেরে ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে বৃষ্টির পানি।
বৃষ্টির পানিতে সুন্দর চুল ঃ
কোনও মিনারেলস না থাকায়, বৃষ্টির পানি অত্যন্ত কোমল। বৃষ্টির পানিতে মাথায় দিলে বা গোসল করলে শ্যাম্পু বা সাবানের চেয়েও ভালো কাজ দেয়।
বৃষ্টির পানি ব্যাকটেরিয়া নাশকঃ
বৃষ্টির পানির কোষে জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে সাফ করে দেয়। এবং এই বৃষ্টির পানি ত্বকের জালা পোড়াও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে ।
বৃষ্টির পানি রাসায়নিক মুক্ত পানিঃ
ট্যাপের পানি জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়। আর ফ্লোরাইড আসে মাটির নিচ থেকে। বেশি মাত্রায় ক্লোরিন বা ফ্লোরাইড পেটে গেলে গ্যাসট্রাইটিস, এবং মাথা ব্যথার মতো সমস্যা বাড়িয়ে দেই। বৃষ্টির পানিতে ফ্লোরাইড বা ক্লোরিন, কোনওটিই থাকে না।
তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃষ্টি দেখে আর ঘরে বসে না থেকে মন-প্রাণ ভরে ভিজুন। বৃষ্টির পানি ধরুন। বৃষ্টির পানি পান করুন
আপনি যদি বৃষ্টির মধ্যে গোসল করেন তাহলে দেখতে পাবেন আপনার পিঠে যদি কোন ঘামাচি থাকে সেই ঘামাচি আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাবে কারণ বৃষ্টির পানি বৃষ্টি এতটাই স্বচ্ছ এবং এতটাই ভাল যে সেই ঘামাচি নিমিষেই শেষ হয়ে যায় নিমিষেই শেষ না হলেও কিছুক্ষণ পর শেষ হয়ে যায়।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহের উপায় ও সুবিধাসমূহ
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে কোন এলাকায় পানি সঙ্কটের সময় একটি স্বনির্ভর পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং উন্নত বিশ্বে এটা মূল পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। এই পদ্ধতি খরার সময় পানি সরবরাহ করে, নিচু এলাকায় বন্যা হ্রাস করে এবং কূপের পানির চাহিদা হ্রাস করে। এছাড়া এটা পানযোগ্য পানির ব্যবস্থা করে, কারণ বৃষ্টির পানিতে কোনো লবণাক্ততা নেই। শহরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা অনেক সুবিধা দেয় যেমন, পানি সরবরাহ ও বর্জ্য পানি পরিষ্কার পানির চাহিদা কমায়, নর্দমায় বর্ষার পানির সৃষ্টি কম হয়, এবং উপচে পড়া বর্ষার পানির দ্বারা পরিষ্কার পানির দূষণ কমায়।
অনেকগুলি গবেষণা বৃষ্টির পানি সংগ্রহের খরচ ও পরিবেশগত সুবিধার উপর দৃষ্টিপাত করে।
কৃষি কাজে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সুবিধা জানতে আরো জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। অনেক দেশ, বিশেষ করে খরা কবলিত এলাকায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ একটি সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য উৎস। শুষ্ক পরিবেশে কৃষি কাজ উন্নত করতে মাটির কিনারায় শৈলশিরা নির্মান করা হয় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য। এমনকি যখন খুব কম বৃষ্টিপাত হয়, তখনো শস্য ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আহরণ করা হয়। পানি ছাদ থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে, কিংবা বাঁধ এবং পুকুর নির্মাণ করা যেতে পারে প্রচুর পরিমাণে পানি ধরে রাখতে যাতে করে কম বৃষ্টিপাতের সময়ও ফসল ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির সরবরাহ থাকে।
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পদ্ধতিঃ
বৃষ্টির পানি সংগ্রহ পদ্ধতি একটি খুব সাধারণ অথবা অত্যাধুনিক হতে পারে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি আসলে কোন প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নয়, এটি একটি চৌবাচ্চা ব্যবস্থা কারণ দালানের সবগুলো পানির কল ভূগর্ভস্থ পানির ট্যাঙ্কের সাথে সংযুক্ত।
ব্যবস্থাগুলির আকার চাহিদার উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় , যেহেতু এটা প্রতিদিন পানি সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত আকারের হতে হবে। বিশেষ করে, পানি ধরার স্থান, যেমন ছাদ, পর্যাপ্ত আকারের হতে হবে সঠিক পানি প্রবাহ বজায় রাখতে। পানি ধারণের ট্যাঙ্কটিও পর্যাপ্ত আকারের হতে হবে।
পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা নির্মাণের আগে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। যেমন, বৃষ্টির পানি আহরণের জিআইএস ম্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে কোন এলাকায় আহরণের জন্য পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় কিনা। কিংবা Rain is Gain যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কোন এলাকার পানির চাহিদা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায়। এসব যন্ত্র পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা নির্মাণের সময় টাকা ও সময় বাঁচাতে পারে।
আরও জানুন -
মধু খাওয়ার নিয়ম এবং মধুর অসাধারণ গুনাগুন
তুলসী পাতার উপকারিতা ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও লেবুর পুষ্টিগুন
গরম পানি খাওয়ার নিয়ম ও গরম পানির উপকারিতা
লাল চা খাওয়ার নিয়ম ও লাল চায়ের উপকারীতা
বৃষ্টির পানির উপকার ও ব্যবহারের নিয়ম
দাতের ব্যথায় করনীয় এবং ঘরোয়া টোটকামাইগ্রেন কি কেনো হয় এবং হলে করনীয় কি
ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানি কী করা হচ্ছে?
প্রতিদিন ঢাকা ওয়াসা মহানগরীতে ২৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে। এই পানির ৮০ শতাংশ আসে ভূ-গর্ভ থেকে।
শহরের বিভিন্ন জায়গায় গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে এই পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে প্রতিবছর পানির স্তর দুই থেকে তিন মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সেটি মাটিতে রিচার্জ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টির পানি মাটিতে রিচার্জ করা যায় কিনা সেটি এরই মধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছে ঢাকা ওয়াসা। এসব পরীক্ষা করা হয়েছে ধানমন্ডি এবং মৎস্য ভবন এলাকায় ঢাকা ওয়াসার দুটি ভবনে।
বৃষ্টির পানি ধরে সরাসরি একটি ফিল্টারের মাধ্যমে মাটির ১২৫ মিটার গভীরে সে পানি ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
কামরুল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা ওয়াসা
শহরের প্রতিটি ছাদে যদি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয় - ব্যবহার কিংবা রিচার্জের জন্য- তাহলে লাভ হবে দুটো। প্রথমত, বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা কমে যাবে এবং দ্বিতীয়ত সেই পানি ব্যবহার করলে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। "
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মাটির নিচে পানি রিচার্জ হওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকার পর সুয়েজ লাইন দিয়ে খাল বিল হয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে।
শহরের প্রতিটি ছাদে যদি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হয় - ব্যবহার কিংবা রিচার্জের জন্য- তাহলে লাভ হবে দুটো। প্রথমত, বর্ষার সময় জলাবদ্ধতা কমে যাবে এবং দ্বিতীয়ত সেই পানি ব্যবহার করলে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে। "
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মাটির নিচে পানি রিচার্জ হওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকার পর সুয়েজ লাইন দিয়ে খাল বিল হয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে।
তথ্য সুত্র - উইকিপিডিয়া , প্রথম আলো , বিবিসি ।
0 Comments