এক নজরে কুষ্টিয়া জেলা
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। লালনের মাজার ছাড়াও এ জেলার শিলাইদহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। এ জেলাতে রয়েছে ইসলাম বিষয়ক বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। কুষ্টিয়া শহর হলো এ জেলার প্রশাসনিক সদর এবং প্রধান শহর। এ জেলার মানুষের কথ্য ভাষাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষা অর্থাৎ বাংলাদেশে বাংলা ভাষার সবচেয়ে প্রমিত রূপ বলা হয়ে থাকে।
কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাসঃ
বহুপূর্বে কুষ্টিয়া অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও পাবনা জেলার মহকুমা ও থানা হিসেবেও রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল এ জেলাটি। কোম্পানি আমলে কুষ্টিয়া যশোর জেলার অধীনে ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে।
বাউল সম্রাট লালন সাঁই র মাজার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে অবস্থিত।অবশ্য কুষ্টিয়া কোনো প্রাচীন নগর নয়। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এখানে একটি নদীবন্দর স্থাপিত হয়। যদিও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এ বন্দর বেশি ব্যবহার করত, তবুও নীলচাষী ও নীলকরদের আগমনের পরেই নগরায়ন শুরু হয়। ১৮৬০ সালে কলকাতার (তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রাজধানী)সাথে সরাসরি রেললাইন স্থাপিত হয়। একারণে এ অঞ্চল শিল্প-কারখানার জন্য আদর্শ স্থান বলে তখন বিবেচিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে যজ্ঞেশ্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস(১৮৯৬), রেণউইক, যজ্ঞেশ্বর এণ্ড কোং (১৯০৪) এবং মোহিনী মিলস (১৯১৯) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭-এ ভারতবর্ষ ভাগের সময় কুষ্টিয়া পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর মহকুমাসমূহ ছিল কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর। তৎকালীন এস ডি ও মৌলভি আব্দুল বারী বিশ্বাস কে প্রধান করে ১৯৫৪ সালে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু সরকারী অফিস কুষ্টিয়ায় স্থাপনের পরে শহরটিতে পুনরায় উন্নয়ন শুরু হয়।
কুষ্টিয়া জেলার ভৌগোলিক সীমানাঃ
কুষ্টিয়া জেলার আয়তন ১,৬২১.১৫ বর্গকিলোমিটার । এর উত্তরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলা, পূর্বে রাজবাড়ী এবং পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা অবস্থিত ।
কুষ্টিয়ার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রধান নদীগুলো হল পদ্মা, গড়াই নদী, মাথাভাঙ্গা, কালীগঙ্গা ও কুমার নদী। জেলাটির গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৮°সে এবং গড় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১১.২°সে । এখানকার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১,৪৬৭ মি.মি.
কুষ্টিয়া জেলার প্রশাসন ব্যবস্থাঃ
কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৫৭টি ওয়ার্ড, ৭০টি মহল্লা, ৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৭১০টি মৌজা ও ৯৭৮টি গ্রামে বিভক্ত। উপজেলাগুলো হলো:
- কুমারখালী উপজেলা
- কুষ্টিয়া সদর উপজেলাত
- খোকসা উপজেলা
- দৌলতপুর উপজেলা
- ভেড়ামারা উপজেল
- মিরপুর উপজেলা
কুষ্টিয়া জেলায় ৫ টি পৌরসভা রয়েছে যেগুলো একই নামের শহরসমূহ পরিচালনা করেঃ
কুষ্টিয়া জেলার পৌরসভাঃ
- আয়তন ৪২.৭৯ বর্গ কি.মি.
- জনসংখ্যা ৪১৮,৩১২(বাংলাদেশের ১৩তম বড় শহর)।
- ওয়ার্ড সংখ্যা ২১ টি।
কুমারখালী পৌরসভাঃ
- আয়তন- ১১ বর্গ কি.মি
- জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০
- ওয়ার্ড সংখ্যা- ৯টি
ভেড়ামারা পৌরসভাঃ
- আয়তন-১২ বর্গ কি.মি.
- জনসংখ্যা প্রায় ৬০,০০০
- ওয়ার্ড সংখ্যা - ৯টি
মিরপুর পৌরসভাঃ
- আয়তন- ৯.২২ বর্গ কি.মি.
- জনসংখ্যা প্রায় ৪০৫,০০০
- ওয়ার্ড সংখ্যা- ৯টি
খোকসা পৌরসভাঃ
আয়তন- ১২.৩৮ বর্গ কি.মিজনসংখ্যা প্রায় ৪৫,০০০
ওয়ার্ড সংখ্যা - ৯টি
কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা ব্যবস্থ্যাঃ
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। কুষ্টিয়ায় প্রথম স্থাপিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলো রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ।
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে
কুষ্টিয়া জেলারত মেডিক্যাল কলেজঃ ২টি
সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালঃ ১টি(নির্মানাধীন) সরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলে কার্যক্রম চলছে।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালঃ ১টি (সেলিমা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল){নির্মানাধীন}
সরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলঃ ১টি
বেসরকারি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ৫টি
- ১: আলো মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল।
- ২: ডাঃ লিজা-ডাঃ রতন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল।
- ৩: স্পেশালাইজড মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল।
- ৪: লালন শাহ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল
- ৫: পদ্মা গড়াই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল।
- সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটঃ ১ টি
- বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটঃ ১০ টি
- এর মধ্য অন্যতম দর্পণ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
কুষ্টিয়া জেলার সরকারি কলেজঃ: ৯ টি
১/ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ,কুষ্টিয়া;
২/ কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ,কুষ্টিয়া;
৩/ কুষ্টিয়া সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ;
৪/ কুষ্টিয়া সরকারি সিটি কলেজ কুষ্টিয়া;
৫/ কুষ্টিয়া সরকারী সেন্ট্রাল কলেজ;
৬/ আমলা সরকারি কলেজ ,কুষ্টিয়া;
৭/ খোকসা কলেজ, কুষ্টিয়া;
৮/ কুমারখালী কলেজ, কুষ্টিয়া;
৯/ ভেড়ামারা সরকারী মহিলা কলেজ,কুষ্টিয়া
জেলা স্কুলঃ ১ (কুষ্টিয়া জেলা স্কুল ,কুষ্টিয়া)* কুষ্টিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- বেসরকারি কলেজঃ: ৩০ টি
- সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ঃ ৩ টি
- বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়ঃ ১৭৩ টি
- বেসরকারি নিম্ন বিদ্যালয়ঃ ৩৮ টি
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৩৩০ টি
- বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ২৭৫ টি
- কিন্ডারগার্টেনঃ ৩৯০ টি
- কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ ২ টি
- আইন কলেজঃ ১ টি
- মাদ্রাসাঃ ৩৭ টি
- প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ঃ ১ টি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রঃ ২ টি
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সিরাজুল হক মুসলিম (বহুমুখী) উচ্চ বিদ্যালয় (1946), কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৭৬),কুমারখালি এম এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত :১৮৫৬),
মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত ১৮৯৮), কুষ্টিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (স্থাপিত ১৯৪৭), কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ (স্থাপিত ১৯৬৮), দৌলতপুর অনার্স কলেজ (স্থাপিত ১৯৮৫), কুষ্টিয়া হাই স্কুল এবং কুষ্টিয়া জিলা স্কুল (স্থাপিত ১৯৬১)। কুওয়াতুল ইসলাম কামিল (এম.এ) মাদরাসা, রক্সিগোলি, বড়বাজার, কুষ্টিয়া (প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৫) ঐতিহ্যেবাহী হরিনারায়ণপুর হাইস্কুল (স্থাপিত. .১৮৯১)((আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়)) (প্রতিষ্ঠিত ১৮৯৯)
বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলাঃ
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে কুষ্টিয়া কয়েকটি সাবডিভিশন নিয়ে গঠিত একটি বড় জেলা, যার প্রতিটি সাবডিভিশন পরবর্তীকালে জেলা হয়েছে। কিন্তু এই তিন জেলা চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে বৃহত্তর কুষ্টিয়া শুধুই একটি অতীত নয়, আরও কিছু। বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে, এই অঞ্চলের ও অবিভক্ত নদীয়া জেলার আদি বাসিন্দাদের মুখের ভাষার সাথে আধুনিক প্রমিত বাংলার ঘনিষ্ঠ মিল পাওয়া যায়। এই তিন জেলার অধিবাসীদের বৃহত্তর সমাজকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা বলা হয়। বিভিন্ন সংস্থা যেমনঃ "বৃহত্তর কুষ্টিয়া এসোসিয়েশন", "বৃহত্তর কুষ্টিয়া সমাজ" এই তিন জেলার জনগনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলার অর্থনীতিঃ
বাংলাদেশের অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়া কেবল চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল নয়। চাষাবাদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ায় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। কুষ্টিয়ায় অনেক তামাকের কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে নাসির টোব্যাকো লিমিটেড, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, দি ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো, পারফেক্ট টোব্যাকো উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক তার তৈরির কারখানা বি.আর.বি. কেবলস কুষ্টিয়ায় অবস্থিত। জেলার কুমারখালি উপজেলায় গড়ে উঠেছে উন্নতমানের ফ্রেব্রিকস শিল্প। এখানে উৎপাদিত ফ্রেব্রিকস সামগ্রী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় অসংখ্য চালের মিল রয়েছে। বিভিন্ন কলকারখানা গড়ে ওঠায় এককভাবে কৃষিকাজের উপর নির্ভরতা কম।
কুষ্টিয়া জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বঃ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ। এছাড়াও বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন এবং সুরকার ও কবি আজিজুর রহমানের বাস্ত্তভিটা ও কবর, বাউল সম্রাট লালনের তীর্থভূমি, পুরাতন কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর গ্রামে গীতিকার, এ জনপদে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট কবি দাদ আলী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, ‘‘এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর,কুষ্টিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা কাঙাল হরিণাথ, নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সঙ্গীত শিল্পী মোঃ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীনসহ অসংখ্য গুণীজনের জন্মস্থান এই কুষ্টিয়া জেলা।
অন্যান্য অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়াতেও প্রধানত ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে জেলাটিতে তামাক ও পানের চাষক বেশ লক্ষণীয়
কুষ্টিয়া জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, কালীগঙ্গা নদী, গড়াই নদী ও ডাকুয়া খাল নদী,সাগরখালী নদী।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী গুলোতে অনেক বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কুমারখালী উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে অনেকগুলো টেক্সটাইল ও হোসিয়ারী ইন্ডাস্ট্রি। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইকোনোমিক জোন, যেখানে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলায় দেশের সর্ববৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে গড়ে উঠেছে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে তামাক শিল্প। কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় ৪০০ অটো রাইস মিল রয়েছে যেখান থেকে বাংলাদেশের ৭০% চাল প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে। কুষ্টিয়াতে এর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক আটা ময়দার মিল। এছাড়াও তামাক ও আখ শিল্প এ জেলাকে কৃষির পাশাপাশি শিল্পে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
কুষ্টিয়া জেলার কৃষিঃ
অন্যান্য অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়াতেও প্রধানত ধান, পাট, আখ, ডাল, তৈলবীজ ইত্যাদি চাষ করা হয়। তবে জেলাটিতে তামাক ও পানের চাষক বেশ লক্ষণীয়
কুষ্টিয়া জেলার নদীসমূহঃ
কুষ্টিয়া জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী, কুমার নদ, কালীগঙ্গা নদী, গড়াই নদী ও ডাকুয়া খাল নদী,সাগরখালী নদী।
কুষ্টিয়ার শিল্প
কুষ্টিয়ায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা-
- বৃহৎ শিল্প - ১২০ টি
- মাঝারী শিল্প -২৩০ টি
- ক্ষুদ্র শিল্প - ৬২১২ টি
- কুটির শিল্প - ২১৮৩৭ টি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী গুলোতে অনেক বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কুমারখালী উপজেলার বিসিক শিল্পনগরীতে রয়েছে অনেকগুলো টেক্সটাইল ও হোসিয়ারী ইন্ডাস্ট্রি। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫০০ একর জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইকোনোমিক জোন, যেখানে শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভেড়ামারা উপজেলায় দেশের সর্ববৃহৎ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে গড়ে উঠেছে কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছে তামাক শিল্প। কুষ্টিয়ার খাজানগর এলাকায় ৪০০ অটো রাইস মিল রয়েছে যেখান থেকে বাংলাদেশের ৭০% চাল প্রক্রিয়াজাত হয়ে থাকে। কুষ্টিয়াতে এর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অনেক আটা ময়দার মিল। এছাড়াও তামাক ও আখ শিল্প এ জেলাকে কৃষির পাশাপাশি শিল্পে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
কুষ্টিয়া জেলার জেলার উল্লেখযোগ্য শিল্প গ্রুপঃ
- বি আর বি গ্রুপ
- নাসির গ্রুপ
- কে এন বি গ্রুপ
- রশিদ গ্রুপ
- উডল্যান্ড গ্রুপ
- এন বিশ্বাস গ্রুপ
- বায়েজিদ গ্রুপ
- হেলথকেয়ার গ্রুপ
- কুষ্টিয়া গ্রুপ
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো
- জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল
0 Comments